১০ টাকার জন্য কুপিয়ে হত্যা, যুবকের যাবজ্জীবন

ভাঙ্গায় ১০ টাকার জন্য কুপিয়ে হত্যার মামলায় মামুন শিকদার (৩৫) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফরিদপুরের আদালত। একইসাথে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় ঘোষণা করেন।

মামুন শিকদার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বিশারী বাগজোলাল মাঠ এলাকার ইউসুফ আলী শিকদারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি মো. রকিবুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল ভাঙ্গা উপজেলার পীরের চর বাজারে কেরাম বোর্ড খেলার সময় ১০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বে মামুন শিকদারকে গালিগালাজ করে মো. ফারুক ফকিরের ভাতিজা আক্তার ফকির। একপর্যায়ে মামুন শিকদার উত্তেজিত হয়ে আক্তারকে কিলঘুষি মারে। পরে চাকু দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ভাতিজাকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায় ফারুক ফকির। তখন তার বুকে চাকু বসিয়ে দেয় মামুন। ফারুককে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মামুন শিকদারকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন স্থানীয়রা। পরে ভাঙ্গা থানায় মামুন শিকদারসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন ফারুকের বাবা শাহজাহান ফকির। এ মামলায় মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক মিয়া প্রধান আসামি মামুন শিকদারের সম্পৃক্ততা পান। তদন্ত প্রতিবেদনে মামুনকে একমাত্র আসামি করা হয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *