চলন্ত গাড়ি থেকে ছোঁ মেরে হাতব্যাগ ছিনতাই: সেই চক্রকে গাড়িসহ ধরল পিবিআই

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় এক নারীর ব্যাগ ছিনতাই এবং তাঁকে গাড়ির সঙ্গে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে আহত করার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর রামপুরার বনশ্রীতে পিবিআইয়ের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অর্গানাইজড ক্রাইম দক্ষিণ (এসআইঅ্যান্ডও-দক্ষিণ) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আবদুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ, তথ্যপ্রযুক্তি এবং আগের ঘটনার ধরন বিশ্লেষণ করে তাঁরা রবিউল (৩৩) নামে একজনকে শনাক্ত করেন। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গত মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত সাদা রঙের প্রাইভেট কার এবং ওই ভুক্তভোগী নারীর মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পিবিআই।

মো. আবদুর রহমান আরও বলেন, রবিউল আদালতে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। স্বীকারোক্তিতে রবিউল আদালতকে জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর দুই সহযোগী প্রায় প্রতিদিনই ভোরে ঢাকায় প্রাইভেট কার নিয়ে ছিনতাই করতে বের হতেন। তাঁদের টার্গেট হতো কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ভোরে বের হওয়া সাধারণ মানুষ। ঘটনার দিনও তাঁরা এ ধরনের আরও চারটি ছিনতাই করেছেন।

রবিউলের ভাষ্যমতে, তাঁরা তিনজন মিলে ২৫-৩০টির বেশি ছিনতাই করেছেন। প্রতিবার ছিনতাই শেষে মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ ভাগ করে নেন এবং ব্যাগে থাকা বাকি জিনিসপত্র ফেলে দেন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিলে ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর গ্রিনল্যান্ড টাওয়ারের সামনে গাজীপুরের চন্দ্রার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজের প্রভাষক ফারহানা আক্তার জাহান ছিনতাইয়ের শিকার হন। তিনি বাসের জন্য রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। এমন সময় সাদা রঙের একটি প্রাইভেট কার এসে তাঁর সামনে দাঁড়ায়। গাড়ির সামনের দিকে বাঁ পাশের জানালা দিয়ে একজন ছিনতাইকারী ঝুঁকে তাঁর ভ্যানিটি ব্যাগটি ছোঁ মেরে টান দেয়। ব্যাগটির বেল্ট হাতে ধরে থাকায় ওই নারী ছিটকে পড়ে যান এবং গাড়ির সঙ্গে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পরে ব্যাগ থেকে তাঁর হাত ছুটে গেলে ছিনতাইকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।

সিদ্ধেশ্বরীতে শিক্ষিকার ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়নি, গাড়িটি খুঁজছে পুলিশসিদ্ধেশ্বরীতে শিক্ষিকার ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়নি, গাড়িটি খুঁজছে পুলিশ
এ ঘটনায় ওই নারী প্রাণে বাঁচলেও তিনি আহত হন। পরে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে পুলিশকে রমনা থানায় মামলা নিতে বলেন। মামলার পর তদন্ত শুরু করে পিবিআইসহ অন্যান্য সংস্থা।

পিবিআইয়ের এসআইঅ্যান্ডও দক্ষিণ শাখা জানিয়েছে, এই চক্রের অন্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে কাজ চলছে। তদন্ত শেষ করে দ্রুতই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে