স্বৈরাচার ঠেকাতে ড. ইউনূসের বড় উদ্যোগ!

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের কথা উল্লেখ করে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ ১১টি জাতীয় কমিশনের প্রস্তাবিত সংস্কারগুলো বাংলাদেশে অর্থবহ রাজনৈতিক রূপান্তরের পথ সুগম করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং শীঘ্রই ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর হবে। এই সংস্কারগুলোর মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে আরেকজন স্বৈরশাসকের উত্থান রোধ করা।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বৈঠকে দুই নেতা বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের বিকল্প পথ নিয়েও মতবিনিময় করেন, বিশেষত সার্কের নিষ্ক্রিয়তার পরিপ্রেক্ষিতে।

বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সেদেশে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় এক হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। জবাবে ড. ইউনূস নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দুর্যোগের ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।

বৈঠকের এক পর্যায়ে শেহবাজ শরিফ, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ড. ইউনূসকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

সুএ: দৈনিক জনকণ্ঠ