নিউইয়র্কে মির্জা ফখরুল-আখতারকে আ.লীগ থেকে বাঁচান শিবির নেতারা

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা আবদুল্লাহিল ওয়াহিদ বলেছেন, নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে বিএনপি ও এনসিপির নেতাদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলা দেখার পর তাদের রক্ষা করা শিবিরের কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়।

তিনি জানান, জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে রিসিভ করতে এয়ারপোর্টে গিয়ে তারা দুপুর ১২টার দিকে উপস্থিত ছিলেন। পরে জানতে পারেন, তাহের ভাই ভিআইপি প্রটোকলে চলে গেছেন। তাই সবাই একটু বাদে আসেন।

আবদুল্লাহিল ওয়াহিদ বলেন, ১৫ মিনিট পর আবার সকলকে এক সঙ্গে বের হওয়ার কথা বলে এয়ারপোর্টে ফিরে আসেন তারা। একই সঙ্গে ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আখতার হোসেন এবং তাসনিম জারা। তবে বের হতে দেরি হয় কারণ ফখরুলের পাসপোর্টে কিছু সমস্যা দেখা দেয়।

বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সময় ছাত্রশিবির ও জামায়াত‑শিবিরের কিছু নেতাকর্মী তাদের সামনে এগিয়ে জেএফকে বিমানবন্দরে প্রটোকল দিচ্ছিলেন। সেই সময় কোনো বিএনপি বা এনসিপি কর্মীর উপস্থিতি ছিল না বলে জানান আবদুল্লাহিল।

তিনি বলছেন, রাস্তায় রেড লাইট পড়লে তাহের ভাইরা এগিয়ে যান, ফখরুলরা পেছনে পড়ে যান। তখন চারদিকে বিভক্ত হয়ে যান তারা। আওয়ামী লীগের লোকজন তখন মির্জা ফখরুল, তাসনিম ও আখতারকে ঘিরে ধরে, শুরু হয় গালিগালাজ।

আবদুল্লাহিল আরও জানিয়েছেন, এই সময়ে আখতার হোসেনকে পেছন থেকে লাথিও মারা হয়। তাসনিম জারাও অশ্রাব্য ভাষার শিকার হন। তার গায়ে ধাক্কা লাগে।

তিনি বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি মারুফ ভাইসহ ছাত্রশিবিরের পাঁচজন নেতাকর্মী মির্জা ফখরুলদের হেফাজতের চেষ্টা করি। সাংবাদিকরাও ছিলেন কয়েকজন। অবশেষে সকলকে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়। লাগেজ‑মালামালও গাড়িতে উঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপর বাসায় পৌঁছে যান তারা।

আবদুল্লাহিল বলছেন, তারা আমাদের অতিথি। যারা জুলাই বিপ্লবে লড়েছেন। তাদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। তিনি জানান, মারুফ ভাই পুরো সময় মির্জা ফখরুলের সামনে ছিলেন। আর আমি তাসনিম জারা ও আখতার হোসেনের পেছনে ছিলাম মুহূর্ত পর্যন্ত।