ত্বক পুড়ে গেলে ঘরেই যে সাতটি উপায়ে চিকিৎসা করবেন

দৈনন্দিন কাজ করতে গিয়ে আমাদের অনেকেরই ত্বক পুড়ে যেতে পারে। আর এটি যদি বড় কোনো পোড়া না হয় তাহলে বাড়িতেই চিকিৎসা করতে পারেন। পোড়া যদি হয় বড় আকারের তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে ভুলবেন না। পোড়া ত্বকের যত্নে সাতটি পরামর্শ থাকছে এ লেখায়।

১. ঠাণ্ডা পানি দিন, বরফ নয়
ত্বক পুড়ে গেলে সেখানে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত ঠাণ্ডা পানি দিতে হবে। কিন্তু এতে বরফ বা বরফের মতো অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করা যাবে না। কারণ পোড়া ত্বকের ক্ষতি করে বরফ। সবচেয়ে ভালো হয় ট্যাপের বা টিউবওয়েলের পানির নিচে পোড়া অংশ ধরা।
তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা পানিতে পোড়া অংশ ভিজিয়ে নিলে তা নতুন করে পোড়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেবে এবং যন্ত্রণা কমাবে।

২. ভেজা তোয়ালে
ত্বকের কোনো অংশ পুড়ে গেলে সে অংশে পরিষ্কার পানিতে ভেজা একটি তোয়ালে আলতো করে লাগিয়ে রাখতে পারেন। ত্বকের পোড়া অংশে যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য এটি জোরে ঘষা যাবে না। কিছুক্ষণ রাখার পর তোয়ালেটি গরম হয়ে গেলে তা আবার পরিষ্কার ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে নিন।

৩. গজ কাপড় ছাড়া সবকিছু বর্জন করুন
পোড়া অংশ গজ কাপড়ে হালকা করে মুড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে গজ ছাড়া অন্য সব কাপড় ও ব্যান্ডেজ ব্যবহার বাদ দিতে হবে। কারণ সেগুলো পোড়া অংশের সঙ্গে লেগে যেতে পারে। পরে তুলতে গেলে তা চামড়াসহ উঠে আসবে।

৪. ওষুধ গ্রহণ করুন
ছোটখাট পোড়ার জন্য আপনার কড়া পেইনকিলার গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই।
তার বদলে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রি হয় এমন হালকা ওষুধ খেতে পারেন। আর এসব ওষুধ শুধু পোড়ার যন্ত্রণাই কমাবে না এর পাশাপাশি হওয়া অন্যান্য সমস্যা যেমন মাথাব্যথা কমাতেও সাহায্য করবে।

৫. অ্যালো ভেরা / ঘৃতকুমারি ব্যবহার করুন
ঘৃতকুমারি গাছের নির্যাস পোড়ার চিকিৎসায় একটি অত্যন্ত কার্যকর প্রাকৃতিক ওষুধ। আর এ ওষুধটির জেল পাওয়া যায় দোকানে। এগুলো পোড়ার ওপর হালকা করে লাগিয়ে দিতে পারেন। এটি শুধু পোড়ার উপকারই করবে না, এর ফলে যন্ত্রণাও কমবে।

৬. জীবাণুরোধী মলম লাগান
পোড়ার ফলে ত্বকের নিচের স্নায়ুগুলোর প্রান্তভাগ উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। এতে নানা জীবাণু আক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেড়ে যায়। তাই পোড়া ত্বকের ওপর প্রয়োগ করতে হবে জীবাণুরোধী মলম।
৭. চুলকাবেন না
পোড়া ত্বক ভালো হওয়ার সময় খুবই চুলকানো শুরু করে। আর এ সময় অনেকেই চুলকিয়ে অবস্থা খারাপ করে ফেলেন। এ ক্ষেত্রে চুলকানো বন্ধ করতে হবে যেকোনো উপায়ে। খুব বেশি সমস্যা হলে সে স্থানে না চুলকিয়ে তার পাশেই চুলকান। এতেও চুলকানি কমবে। এ ছাড়া সতর্কতা হিসেবে হাতের নখ কেটে ফেলুন। আর প্রয়োজনে গজ দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন পোড়া স্থান।