রাজধানীর পুরান ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে নৃশংসভাবে পাথর মেরে হত্যার ঘটনায় করা অস্ত্র মামলায় ছাত্রদল নেতা তারেক রহমান রবিন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ গিয়াসের আদালতে তিনি স্বেচ্ছায় এই জবানবন্দি দেন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, রবিন রাজধানীর চকবাজার থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। গত শুক্রবার (১১ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানা তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে রবিন স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন।
নিহত সোহাগ (৩৯) কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন। গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় জনসমক্ষে তাকে পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে বুক ও মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও গত শুক্রবার (১১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যাওয়া হত্যাকারীদের মধ্যে বিএনপি’র অঙ্গসংগঠন যুবদল ও সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি’র ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
ভাঙারি ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা হয়েছে—একটি হত্যা মামলা এবং অন্যটি অস্ত্র মামলা। হত্যা মামলায় মাহমুদুল হাসান মহিনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং তারেক রহমান রবিনকে অস্ত্র মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।