রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গাড়ি ভাঙচুর ও শ্রমিকদের মারধরের ঘটনা বন্ধ না হলে সড়ক অবরোধ করে পদ্মা সেতু বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শরীয়তপুর পরিবহনমালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। আজ শনিবার শরীয়তপুর পৌর বাস টার্মিনালে সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
শ্রমিকনেতারা জানান, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর যাত্রাবাড়ীতে শরীয়তপুরের বিভিন্ন পরিবহন থেকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে আসছেন স্থানীয় যুবদল নেতা মুশফিকুর রহমান ফাহিম। সম্প্রতি তিনি শরীয়তপুরের পরিবহন থেকে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে যাত্রাবাড়ীতে শরীয়তপুরের কোনো পরিবহন ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানান যুবদলের সাবেক এই নেতা।
এই বিপুল পরিমাণ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ৯ জুলাই থেকে যাত্রাবাড়ী থেকে শরীয়তপুরের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেন যুবদল নেতা ফাহিম ও তাঁর লোকজন। এখন পর্যন্ত দোলাইপাড় ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় ফাহিম ও তাঁর লোকজন শরীয়তপুরের প্রায় ২৫টি গাড়ি ভাঙচুর এবং ১০ জন শ্রমিককে আহত করে বলে অভিযোগ করেন পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
এ ঘটনায় শরীয়তপুর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের পক্ষ থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি, র্যাব ও সেনাবাহিনী বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে শরীয়তপুর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. ফারুক আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘আমাদের শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস লিমিটেড পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে শরীয়তপুর-ঢাকা রুটে সুনামের সঙ্গে যাত্রীসেবা দিয়ে আসছি। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর থেকে যাত্রাবাড়ী থানা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি মুশফিকুর রহমান ফাহিম আমাদের শরীয়তপুরের প্রতিটি গাড়ি থেকে ৫০০ থেকে এক হাজার করে টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে।
‘সে হিসাবে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ হাজার, মাসে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নিচ্ছে ফাহিম। সম্প্রতি সে আমাদের কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। আমরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ৯ জুলাই থেকে যাত্রাবাড়ী থেকে শরীয়তপুরের গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। ফাহিম ও তার লোকজন এ পর্যন্ত আমাদের ২৫টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে এবং আমাদের ১০ জন শ্রমিককে মারধর কর আহত করেছে। ভয়ে আতঙ্কে আমাদের গাড়ি এখন যাত্রাবাড়ী ঢুকতে পারছে না।