কিশোরীকে ৫ মাস আটকে রেখে ধর্ষণ, অতঃপর…

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া থেকে এক কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার (২৮ জুন) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু। এর আগে, একই দিন সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভক্তপুর ইউনিয়নের সাঁকোতলা বাজারে যৌথ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১১ ও র‍্যাব-৭।

গ্রেপ্তার জাহেদ হাসান (৩৭) উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের চরফকির গ্রামের জাহেদের বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমর ছেলে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তিন সন্তানের জনক জাহেদ ভুক্তভোগী কিশোরীর প্রতিবেশী। গত ৬ জানুয়ারি সকাল ৭টার দিকে ভিকটিম বসত বাড়ির সাথে ধান শুকানোর মাঠে যায়। ওই সময় জাহেদ ঘন কুয়াশার মধ্যে কিশোরীর মুখে চেতনানাশক স্প্রে করে অপহরণ করে চট্টগ্রামের কাপ্তাই রাস্তার মাথায় গোলাইপ্পার দোকানের পিছনে নিয়ে যায়। সেখানে আটকে রেখে কিশোরীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। ভিকটিম আসামিকে ধর্ষণে বাধা দিলে আসামি ধারালো ছুরি দিয়ে তার ডান হাতের কনুইয়ে জখম করে। এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে মাসের পর মাস ধর্ষণ করতে থাকে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এছাড়া আসামি কিশোরীকে নদীতে এবং ট্রেনের নিচে ফেলে হত্যার চেষ্টা করে। দীর্ঘদিন ধর্ষণের ফলে ভিকটিম ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে জোরপূর্বক ওষুধ খাইয়ে গর্ভজাত সন্তান নষ্ট ও হত্যা করা হয়। গত ১ জুন দুপুর ১টার দিকে ভুক্তভোগীকে তার বাড়ির কাছে ফেলে রেখে যায় আসামি।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, ঘটনার পরপরই ভিকটিমের মা-বাবা হাতিয়া থানার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের আদেশে হাতিয়া থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিনজনকে আসামি করে মামলা রুজু করা হয়। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *