হঠাৎ সবাই পানিতে হলুদ মেশাচ্ছে কেন, ব্যাপারটা আসলে কী?

‘টিংকারবেল টারমারিক ট্রেন্ড’ বলতে যা বোঝানো হচ্ছে, সেটা মূলত একটা ভিজ্যুয়াল এফেক্ট ভিত্তিক টিকটক/রিল ট্রেন্ড। যেখানে: অন্ধকার ঘরে ফ্ল্যাশলাইট অন করে স্বচ্ছ গ্লাসে পানি নিয়ে গুঁড়া হলুদ ধীরে ধীরে মেশানো হয়। আর ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজে শাহরুখ খানের গান ‘ম্যায় আগার কাহু’ সেই সাথে হলুদ ধীরে পানিতে ছড়িয়ে আলো ছড়িয়ে পড়ে।

ভাইরাল হওয়ার কারণ?
দেখতে মনোমুগ্ধকর
সহজে বানানো যায়
আবেগী গান যুক্ত হওয়ায় নাটকীয়তা বাড়ে
সবাই নিজের মতো ভিন্নভাবে করে মজা পাচ্ছে
নির্দোষ, হাস্যকর কিংবা সৃজনশীল কন্টেন্ট তৈরি করা যায়

মূল ভিডিও: ১৪ জুন মালয়েশীয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর পুষ্পা গোমেন টিকটকে একটা ভিডিও ছাড়েন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রায় অন্ধকার ঘরে পুষ্পা গোমেন গ্লাসের পানিতে গুঁড়া হলুদ ঢালছেন। গ্লাসের নিচে জ্বলছে ফ্ল্যাশলাইট। পুষ্পার আশপাশে আরও কয়েকজন মালয়েশীয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর। পানিতে গুঁড়া হলুদ পড়তেই ছড়িয়ে পড়ছে হলুদ আভা, সঙ্গে সঙ্গে বাজতে লাগল ‘ম্যায় আগার কাহু’র সুর। আর তাতে বিস্মিত পুষ্পার সঙ্গীরা। ব্যস, সেই থেকে ভিডিওটি ভাইরাল। টিকটকে পুষ্পা গোমেনের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে ভিডিওটির ভিউ সাড়ে তিন কোটি (২২ জুন রাত ১১টা পর্যন্ত)!

বাংলাদেশে প্রতিক্রিয়া:
টিকটকার, ইউটিউবাররা ব্যাপকভাবে অনুসরণ করছেন
‘আর্টফুল শতাব্দী’-র মতো টিকটকাররা টিউটরিয়াল দিচ্ছেন
কিছু ট্রল ও হাস্যকর ভিডিও ছড়িয়েছে

ভিডিও বানানোর প্রক্রিয়া: বাংলাদেশি টিকটকার ‘আর্টফুল শতাব্দী’ একটি ভিডিও টিউটরিয়াল বানিয়েছেন। তার এই টিউটরিয়ালটির ভিউও কম নয়—ছয় লাখের বেশি! টিউটরিয়ালে শতাব্দী দেখিয়েছেন, কীভাবে অন্ধকার ঘরে একটা স্বচ্ছ গ্লাস, পানি, মুঠোফোনের ফ্ল্যাশলাইট, গুঁড়া হলুদ এবং অবশ্যই ‘ম্যায় আগার কাহু’র সুর যোগ করে বানাতে হয় ট্রেন্ডিং ভিডিওটি।

এটা নিছক ভিজ্যুয়াল প্লেজার ও বিনোদনমূলক ট্রেন্ড কোনো বিশেষ বার্তা বা গভীর অর্থ নেই। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব কতটা বিস্তৃত, তার সুন্দর উদাহরণ এটি। টিকটকে তো বটেই, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামেও হাজারো মানুষ এ ধরনের ভিডিও আপলোড করছেন। ইউটিউবে ভ্লগাররা বানাচ্ছেন ট্রেন্ডটির প্রতিক্রিয়া, টিউটরিয়ালসহ নানান ধরনের ভিডিও। মালয়েশিয়া থেকে শুরু হয়ে ভিডিও ট্রেন্ডটি ভাইরাল বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ ইন্দোনেশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও।