যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করায় নেতানিয়াহুর ওপর ‘বিরক্ত’ ট্রাম্প

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের তীব্র সংঘাতের পর অবশেষে উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এই সংঘাত বন্ধ করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার আলোচনার জন্য ইরানকে আহ্বান জানালেও তেহরান তাতে কোনো কর্ণপাত করেনি। তবে, কাতার যখন মধ্যস্থতার কথা বলে, তখনই উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। এ ঘটনা স্পষ্ট করে যে, ট্রাম্প যেখানে ব্যর্থ হয়েছেন, সেখানে সফল হয়েছে কাতারের কূটনীতি।

ইরান কাতারের আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে হামলার বিষয়ে কাতার ও আমেরিকানদের আগে থেকেই সতর্ক করেছিল। ইরান কাতারের সঙ্গে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর জোর দিয়ে বলেছে—এই আক্রমণ কাতার রাষ্ট্রের দিকে ছিল না। কিন্তু, কাতার বলছে—এটি তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। তাই দোহা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

তবে, ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিরসনে কাতার মধ্যস্থতার এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই বিষয়ে বলেছেন, আল উদেইদে হামলা সত্ত্বেও কাতার এই (মধ্যস্থতা) ভূমিকা পালন করেছে। এটি কাতারি কূটনীতির জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

কাতার ছোট রাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও একটি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখে, যেখানে আঞ্চলিক ও বৃহৎ শক্তিগুলোর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করা হয়।

আল উদেইদ বিমানঘাঁটি মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম মার্কিন সামরিক স্থাপনা। এটি মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড এর ফরোয়ার্ড সদর দপ্তর হিসেবে কাজ করে। ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক অভিযানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ কেন্দ্র। এই ঘাঁটিতে হাজার হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *