ইউক্রেনের সামরিক বিমানঘাঁটি ও জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। হামলার ঠিক পরেই, রুশ সেনারা যে অঞ্চলে পা রাখেন সেটাই মস্কোর অধীনস্থ হয়ে যায় বলে হুঁশিয়ারি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বিভিন্ন সাময়িক যুদ্ধবিরতির শর্তে রাশিয়া-ইউক্রেন দু’দেশই একে অপরের জ্বালানি খাতে হামলা না করার বিষয়ে সমঝোতায় আসে। তবে এসবের কোনোকিছুর তোয়াক্কা না করেই শনিবার (২১ জুন) ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনা ও জ্বালানি কেন্দ্রে রাতভর হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিমান, স্থল ও নৌ-ভিত্তিক উচ্চ প্রযুক্তির নির্ভুল অস্ত্র এবং আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনের সামরিক বিমানঘাঁটি এবং একটি জ্বালানি অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় দাবি করে, দনবাসে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে জ্বালানি সরবরাহে ব্যবহৃত একটি কেন্দ্র ছিল হামলার অন্যতম লক্ষ্য।
ইউক্রেন জানায়, একরাতে প্রায় ২৮০টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া, যার মধ্যে ২৬০টি ভূপাতিত করা হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রে আঘাত হানার পাশাপাশি, আবাসিক ভবন ও যানবাহনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই হামলার মধ্যেই একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেন্ট পিটার্সবার্গ আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে তিনি দৃঢ়কন্ঠে জানান, রুশ সেনাদের পা যেখানে পড়ে, সেটাই রাশিয়ার অংশ। তিনি আরও বলেন, রুশ ও ইউক্রেনীয়রা একই জাতি। এই দৃষ্টিকোণ থেকে, গোটা ইউক্রেনেই রাশিয়ার অধিকার আছে বলে দাবি করেন তিনি।
সুমি শহর দখলের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি, যদিও সরাসরি পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছেন পুতিন।
জবাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত রুশ সেনাদের মরদেহ ইউক্রেনীয় বলে পরিচয় দিচ্ছে। তিনি জানান, সম্প্রতি ফেরত পাওয়া কিছু মরদেহে রুশ পাসপোর্টও ছিল। জেলেনস্কির অভিযোগ, পুতিন নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা গোপন করছেন।
Leave a Reply