বাড়ছে করোনা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে যা জানা গেল

দেশে হঠাৎ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এ অবস্থায় দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা জোরদার করতে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে, বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।

শুক্রবার (২০ জুন) গণমাধ্যমে তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা ইতোমধ্যে নির্দেশনা জারি করেছি। সে অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে। অভিভাবকদেরও অনুরোধ করব, তারা যেন তাদের সন্তানদের সে অনুযায়ী প্রস্তুত করেন।

আরও পড়ুনঃ ক্ষেপণাস্ত্র ও শতাধিক ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চলছে
ড. খান মইনুদ্দিন আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতেতে বিদ্যালয় বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। আগামী রোববার (২২ জুন) থেকেই বিদ্যালয় খুলছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের ব্যবস্থাগুলো সবাইকে মানতে হবে।

এদিকে, করোনা রোধে গত ১৫ জুন একটি নির্দেশনা জারি করে মাউশি। এতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা এবং করোনা প্রতিরোধে পাঁচটি স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মাউশি জানায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যৌথ নির্দেশনার আলোকে দেশের স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ডেঙ্গু ও করোনা মোকাবেলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের এসব নির্দেশনার বাস্তবায়ন ও তদারকির জন্য বিশেষভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করে দেশব্যাপী বিশেষ সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে হবে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আলোচনা সভা, র‍্যালি, দেয়াল পত্রিকা, পোস্টার তৈরি, লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে। ‘ডেঙ্গু সচেতনতা: ভবিষ্যতে করণীয়’ শীর্ষক বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

এছাড়া, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় নিচের পাঁচটি নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে —

১. সাবান ও পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

২. জনবহুল স্থানে যাওয়া এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান করতে হবে।

৩. আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং অন্যদের থেকে অন্তত তিন ফুট দূরে থাকতে হবে।

৪. চোখ, নাক ও মুখে হাত দেওয়ার আগে হাত পরিষ্কার করতে হবে।

৫. হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢাকতে টিস্যু, রুমাল বা কনুইয়ের ভাঁজ ব্যবহার করতে হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *