মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া, নেপথ্যে কী?

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে অস্ট্রেলিয়া তাদের নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে সামরিক সদস্য ও যুদ্ধবিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ শুক্রবার (২০ জুন) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়াং এক প্রেস কনফারেন্সে এই ঘোষণা দেন।

তিনি জানান, ‘ফরেন অ্যাফেয়ার্স ক্রাইসিস রেসপন্স টিম ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ফোর্স (এডিএফ) সদস্য ও বিমান মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন করা হচ্ছে ‘অপারেশন বিচ ২০২৫’-এর আওতায়। তবে এদের কোনো যুদ্ধ মিশনে নয়, কেবল নাগরিকদের সহায়তা দিতেই পাঠানো হচ্ছে।’

আরও পড়ুনঃ যে পরামর্শ দিলেন জাতিসংঘ মহাসচিবের
তিনি বলেন, ‘আকাশপথ এখনও বন্ধ। আমরা আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছি যেন খোলা হলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে তার ‘গঠনমূলক আলোচনা’ হয়েছে, তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি কোনো সামরিক সহযোগিতার অনুরোধ আসেনি।

তিনি আরও জানান, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনের একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান হোক।’

আরও পড়ুনঃ অবশেষে বাংলাদেশকে সুখবর দিল ভারত
এছাড়াও তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘ইরানকে অবশ্যই আলোচনায় আসতে হবে এবং তাদের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করতে হবে।’

এই ঘোষণার আগেই অস্ট্রেলিয়া তেহরানে তাদের দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে এবং সেখানে অবস্থানরত সব অস্ট্রেলীয় কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছে।

পেনি ওয়াং বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত হালকাভাবে নেওয়া হয়নি। এটি ইরানে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কারণেই নেওয়া হয়েছে। আমরা কনস্যুলার কর্মীদের আজারবাইজানে স্থানান্তর করছি, যারা সীমান্ত এলাকায় অস্ট্রেলিয়ানদের সহায়তা করবে।’

আরও পড়ুনঃ ইরান কীভাবে বিশ্বের সর্বাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভাঙতে সক্ষম হচ্ছে
অস্ট্রেলিয়ার সরকার তাদের সকল নাগরিককে দ্রুত ইরান ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এবং যারা বের হতে পারছে না, তাদের নিরাপদে আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত অবশ্য এখনও ওই অঞ্চলে অবস্থান করবেন বলে জানানো হয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *