ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর দেখা গেছে, বেশ কিছু ইরানি ব্যালিস্টিক মিসাইল ইসরায়েলের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা (আয়রন ডোম) ব্যবস্থাকে ভেদ করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত হয়েছে, শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে এবং দেশজুড়ে হাজার হাজার মানুষকে মাটির নিচে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে হয়েছে।
ইতিহাসগতভাবে ইসরায়েল তার ‘আয়রন ডোম’ ও ‘অ্যারো-৩’ সিস্টেমের মাধ্যমে শত্রুপক্ষের অধিকাংশ আকাশ হামলা সফলভাবে প্রতিহত করে আসছে। তবে সাম্প্রতিক হামলায় এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর প্রকাশ পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান এবার যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চগতির হাইপারসনিক প্রযুক্তি, যেমন ফাত্তাহ-১ এবং ফাত্তাহ-২। এসব ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের গতির ১৩ গুণ বেশি গতিতে চলতে পারে এবং তারা এমনভাবে দিক পরিবর্তন করতে পারে যে, সেগুলোকে শনাক্ত ও বাধা দেওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।
এছাড়া, ইরান একসাথে শত শত ড্রোন ও প্রায় ৪০০-এর বেশি মিসাইল নিক্ষেপ করেছে, যার ফলে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একপ্রকার ‘ওভারলোড’ হয়ে পড়ে এবং প্রতিটি হুমকির সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক প্রযুক্তির ভারসাম্য বদলাতে শুরু করেছে। ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষা সাফল্যের গল্পে নতুন করে প্রশ্ন উঠে এসেছে। [সূত্র: আল জাজিরা]
Leave a Reply