কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন দীপা, সে রাতে যা ঘটেছিলো

রাজবাড়ীর পাংশা পৌরসভার মৈশালা (পালপাড়া) গ্রামের গৃহবধূ দীপা রানী পাল (২২)। দুই পুত্রসন্তানের জননী। বুধবার (১১ জুন) রাত সাড়ে ৯টা দিকে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। পরদিন বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোরে তিন যুবক দীপা রানী পালকে বাড়িতে রেখে যায়। এর কয়েক ঘণ্টা পর ঘরের সিলিংয়ের হুকের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন দীপা।

এ ঘটনার দুইদিন পরে শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে দীপা রানীর বাবা বাদি হয়ে পাংশা মডেল থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তুলে মো. সাগর খান, মো. সালাম, মো. মাসুদ ও মো. শাহাদাতের নাম উল্লেখসহ ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করেন।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, দীপার পিতা বাদী হয়ে মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তুলে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২-৩ জনকে অজ্ঞাত করে এজাহার দায়ের করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আসামিদের মধ্যে যেকোনো একজনকে গ্রেপ্তার করতে পারলে সত্য বেরিয়ে আসবে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৈশালা (পালপাড়া) গ্রামের সিঙ্গাপুরপ্রবাসী মিঠুন পালের সঙ্গে ৬ বছর আগে দীপা রানী পালের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে পাঁচ বছর বয়সী যমজ দুইটি পুত্রসন্তান রয়েছে। তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল। একমাত্র শাশুড়ি সাধনা রানী পালের সঙ্গে দীপার খুব ভালো সখ্যতা ছিল। তাহলে দীপা রানী কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন?

পরিবারের তরফ থেকে জানা যায়, স্বামীর প্রবাস যাপনের সময় দীপা স্বামীর বাড়ির পাশের এলাকার গাড়িচালক সাগর খানের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত বুধবার (১১ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় কাউকে কিছু না বলে সাগরের ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়ির বাইরে বের হন তিনি।

সাগর প্রলোভন দেখিয়ে দীপাকে বাড়ি থেকে কিছু দূরে নিয়ে যায়। দীপার স্বামী মিঠুন পাল ও শাশুড়ি সাধনা রানী বাড়ির বাইরে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। ঘণ্টা দুই পরে মো. সালাম, মো. মাসুদ ও মো. শাহাদাত নামের তিন যুবক রাস্তা থেকে মিঠুন পালকে ডাকতে থাকে। মিঠুন স্ত্রী দীপাকে খুঁজতে বের হয়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *