রুট ক্যানাল করাতে গিয়ে একদম চেহারাই বদলে গেল অভিনেত্রীর

রুট ক্যানাল করাতে গিয়ে বদলেই গেল অভিনেত্রীর চেহারা। তাঁকে চেনা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে গিয়েছে। ২০ দিন পরেও তাঁর মুখের ফোলা ভাব কাটেনি। জানা গিয়েছে সাথী সতীশ নামক ওই অভিনেত্রী সম্প্রতি রুট ক্যানাল করাতে গিয়েছিলেন। তার পর থেকেই তাঁর মুখে চরম ফোলাভাব রয়েছে। তাঁকে চেনা পর্যন্ত যাচ্ছে না। ফলে কাজও হারিয়েছেন তিনি।

রুট ক্যানাল করাতে গিয়ে চরম বিপত্তি! অভিনেত্রীর মুখই বদলে গেল! চেনা একপ্রকার অসম্ভব। সম্প্রতি রুট ক্যানাল করিয়েছিলেন কন্নড় অভিনেত্রী সাথী সতীশ। অত্যন্ত সুন্দরী এই অভিনেত্রী ভাবতেও পারেননি যে তাঁর জীবনে ঠিক কী ঝড় নেমে আসতে চলেছে। জানা গিয়েছে, রুট ক্যানাল করার দু’সপ্তাহ পর অভিনেত্রীর মুখ অসম্ভব ফোলা রয়ে গিয়েছে। এমনকী, তাঁকে চেনা পর্যন্ত যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে প্রভাব পড়েছে তাঁর কাজের উপরেও।

সাথী সতীশ কন্নড় ছবির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। FIR(2022) এবং d 6 to 6 ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তিনি রুট ক্যানাল করাতে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে বলেছিলেন,এই পদ্ধতির ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মুখে ফোলাভাব থাকে। কিন্তু, এই নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। কারণ তা বেশিক্ষণের জন্য থাকে না। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই ফোলা ভাব চলে যায়। চিকিৎসকদের কথা মোতাবেক আর দু’বার ভাবেননি অভিনেত্রী। তিনি রুট ক্যানাল করিয়েছিলেন।

কিন্তু, এরপর থেকে ২০ দিন তাঁর মুখ ফুলে রয়েছে। এমনকী, অভিনেত্রীকে চেনা পর্যন্ত যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে চরম বিপত্তি পোহাতে হচ্ছে তাঁকে। কাজের ব্যস্ততার মধ্যেই রুট ক্যানালের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এদিকে প্রায় ২০ দিন কেটে যাওয়ার পরেও তাঁর মুখের ফোলাভাব কমছে না। ফলে চরম বিপাকে অভিনেত্রী। তিনি জানাচ্ছেন, আপাতত তিনি কাজ করতে পারছেন না।

জানা গিয়েছে, যেই ক্লিনিক থেকে তিনি এই সার্জারি করিয়েছিলেন তাদের উপর অত্যন্ত রুষ্ঠ অভিনেত্রী। তিনি তাদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার কথাও ভাবছেন। চিকিৎসকরা তাঁর মুখ ঠিক করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। অতিদ্রুত যাতে তাঁর মুখে ফোলা ভাব কমে সেজন্যও যাবতীয় চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও একটি সর্বভারতী সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই ক্লিনিকের চিকিৎসকরা দাবি করছেন, রুট ক্যানালের চিকিৎসার জটিলতার কারণে অভিনেত্রীর সমস্যা হচ্ছে। কোনও চিকিৎসায় অবহেলার কারণে নয়।

এই ঘটনায় বিনোদন জগতে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়টি নিয়ে হইচই তুঙ্গে। উল্লেখ্য, এই বছর কন্নড় ছবির আরেক অভিনেত্রী Chetana Raj ‘ফ্যাট রিমুভ্যাল’ চিকিৎসা করানোর জন্য বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। অভিযোগ ওঠে, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে যায়।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *