নাহিদের সাবেক পিএর বিরুদ্ধে ১৫০ কোটি টাকা বেহাতের অভিযোগ

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা ছিলেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতা নাহিদ ইসলাম। পরে পদত্যাগ করে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা হন নাহিদ। জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি নামে নতুন দল খুলেছেন তিনি। নাহিদ ইসলাম তথ্য উপদেষ্টা থাকা অবস্থায় তার পিএ ছিলেন আতিক মোর্শেদ।

এবার এই আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে গুরুত্বর অভিযোগ উঠেছে। মোবাইল ব্যাংকিং নগদের ১৫০ কোটি টাকা বেহাতের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নগদের গুরুত্বপূর্ণ পদে স্ত্রীসহ আত্মীয়দের চাকরি দেওয়ার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে।

নাহিদ ইসলামের পরামর্শেই আতিক মোর্শেদ এসব কাজে জড়িত কি না- এমন প্রশ্ন তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন।

আজ শুক্রবার দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এমন প্রশ্ন তোলেন।
ফেসবুক পোস্টে রাশেদ খাঁন বলেন, সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বিশেষ সহকারী (পিএ) আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ আসলেও নাহিদ ইসলাম দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ বা মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করেননি। এক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে যায় নাহিদ ইসলামের পরামর্শেই আতিক মোর্শেদ এসব কাজে জড়িত কি না? অন্যথায় এসব বিষয়ে নাহিদ ইসলাম কেন চুপ ছিলেন বা এখনো চুপ আছেন?

আরও পড়ুনঃ জাপান সফরে ‘ইউনূস-ম্যাজিক!’
একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে রাশেদ খাঁন জানান, এবার আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে নগদ থেকে দেড়শ কেটি টাকা বেহাতের তথ্য প্রকাশ হয়েছে।নগদের ডেপুটি সিইও মুয়ীজ নাসনিম ত্বকির সাথে মিলিত হয়ে এই কাজ করেছে আতিক মোর্শেদ।

তিনি বলেন, নগদের সীমাহীন লুটপাটের সঙ্গে জড়িত ও মূল হোতাদের একজন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি সিইও মুয়ীজ নাসনিম ত্বকিকে গত ১৮ মে রাতে বেইলি রোডের বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে পরদিন বিকেলে বিভিন্ন দেনদারের তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে ডিবি থেকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। আতিক মোর্শেদের সরাসরি হস্তক্ষেপে ডিবি পুলিশ তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে যায় পিছন থেকে কে আতিক মোর্শেদকে এখনো সাপোর্ট করে যাচ্ছে? কেই বা তাকে নগদের পরিচালনার দায়িত্ব দিলো?

আরও পড়ুনঃ ঈদুল আজহা ঘিরে পুলিশ সদর দপ্তরের যেসব সতর্কবার্তা
ওই সংবাদের তথ্য তুলে ধরে রাশেদ খাঁন জানান, ডেপুটি সিও এবং আতিক মোর্শেদ মিলে নগদের সবকিছু সামলাচ্ছেন। নগদ ভবনের ৬ তলার একই রুমে নিয়মিত অফিস করছেন আতিক মোর্শেদ।

অথচ আতিক মোর্শেদ নগদের কোন কর্মকর্তা নন। এমনকি আতিক মোর্শেদ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁইকে নগদের ম্যানেজার কমপ্লায়েন্স পদে বসিয়েছেন। তাছাড়া চাকরি দিয়েছেন অনেক নিকট আত্মীয়দের।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, নাহিদ ইসলামের একটা কথা আমার প্রায় কানে বাজে আমাদের ডোনেট করছে ধনীরা। কিন্তু সেই ধনীরা কারা? নাহিদ ইসলাম কি পারবে এসবের দায় এড়াতেই আজকেই পুলিশের হাতে আতিক মোর্শেদকে তুলে দিতে? অবশ্যই বিশেষ সহকারীর এসব কাজের দায়ভার সুষ্ঠু তদন্ত ছাড়া নাহিদ ইসলামের এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *