জামায়াতের মোয়াজ্জিন-ইমামের ওপর বিএনপির নেতার নিষেধাজ্ঞা

পাবনার আটঘরিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর কোনো মোয়াজ্জিন আজান দিতে পারবেন না এবং কোনো ইমাম নামাজ পড়াতে পারবেন না—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। তিনি জামায়াতকে আখ্যায়িত করেছেন ‘স্বাধীনতাবিরোধী রগকাটা গ্রুপ’ এবং ‘পাকিস্তানের দোসর’ হিসেবে।

শনিবার (১৭ মে) বিকেলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে আটঘরিয়ায় জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষে আহত বিএনপি নেতাকর্মীদের দেখতে গিয়ে তিনি এ বক্তব্য দেন। তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ দাফনের ৪৪ দিন পর তোলা হলো ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাজ্জাদের মরদেহ
ভাইরাল ভিডিওতে হাবিবুর রহমান হাবিবকে বলতে শোনা যায়,
“দল যেটা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটা তো নেবেই। তার সঙ্গে আমার কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু আমি আজকে বলব, ভবিষ্যৎ তো পরে, এখন থেকে আটঘরিয়ায় কোনো মসজিদে জামায়াতের কোনো মোয়াজ্জিন আজান দিতে পারবে না, জামায়াতের কোনো ইমাম ইমামতি করতে পারবে না।”

তিনি আরও বলেন,
“জামায়াত মিথ্যা কথা বলে। এদের পেছনে নামাজ হয় না। এরা স্বাধীনতাবিরোধী রগকাটা গ্রুপ। এরা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। পাকিস্তানের দোসর ছিল। তাই আটঘরিয়াবাসীকে আহ্বান জানাব, এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।”

আরও পড়ুনঃ কমছে পানি মিলছে মরদেহ, এক জেলাতেই ১৭ জনের মৃত্যু
জামায়াতের অফিসে কোরআন ও হাদিস পোড়ানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন,
“আমাদের নেতাকর্মীরা কোরআন পোড়ায়নি। তারা (জামায়াত) নিজেরাই কোরআন পুড়িয়েছে। বিএনপির কোনো নেতাকর্মী কোরআন পোড়াতে পারে না। এটা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি। যদি বিএনপির নেতাকর্মীদের কোরআন পোড়ানোর ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারেন, তাহলে সমস্ত দায়-দায়িত্ব আমি নেব। আর আমাদের যে একশ মোটরসাইকেল ভাঙছে, তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তাদের।”

এ বিষয়ে পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলসহ একাধিক দায়িত্বশীল নেতার মুঠোফোনে কল দিলেও কেউ রিসিভ করেননি।