জনগণ কেয়ামত পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই না নির্বাচনের জন্য আবারও রাজপথে আন্দোলন হোক। জনগণ চায় প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত ভোট। সংস্কারের বাহানায় দেশবাসী অনন্তকাল অপেক্ষা করবে না। নির্বাচনের দাবিতে যদি যমুনা ঘেরাও করি, সেটা হবে দুর্ভাগ্যের।
শনিবার খুলনায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে আয়োজিত তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুনঃ যুবদল নেতার সহযোগিতায় ভারতে পালান ওবায়দুল কাদের
সালাহউদ্দিন বলেন, নিজেকে অসীম ক্ষমতার অধিকারী ভাববেন না। বিদেশে গিয়ে কী কী চুক্তি করেছেন সেগুলো জাতি জানতে চায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার হচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সরকার। যারা দেশ চালাচ্ছে তাদের মধ্যে দু’জন উপদেষ্টা রয়েছেন, যারা এনসিপির রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। এর সঙ্গে রয়েছে বিদেশি নাগরিক। উপদেষ্টা পরিষদে স্থান দেওয়া হয়েছে ফ্যাসিবাদের দোসরদেরও। অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ করতে বলুন, অন্যথায় তাদের অপসারণ করুন।
আরও পড়ুনঃ আ.লীগের সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী নেতা নিজাম যোগ দিলেন ইসলামী আন্দোলনে
তিনি আরো বলেন, বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক, মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং আজকের তরুণ ছাত্র যুবককে সেই ৩১ দফার অ্যাম্বাসেডর হতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। প্রধান বক্তা ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন নাসিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, বাগেরহাটে আততায়ীর গুলিতে নিহত তানু ভূঁইয়ার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক ফখরুল ইসলাম রনি, যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক প্রমুখ।