আগামী আগস্টে অবসর নেওয়ার কথা ছিল ভারতের ২৫ পঞ্জাব রেজিমেন্টের সুবেদার মেজর পবন কুমার জরিয়ালের। অবসরের আগে শেষ পোস্টিংয়ের জন্য নিজেই কাশ্মীরের পুঞ্চকে বেছে নিয়েছিলেন। সেখানেই শনিবার (১০ মে) সকালে পাকিস্তানের গোলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ বছরের পবন কুমার।
নিহত ভারতীয় এই সেনা হিমাচল প্রদেশের কাংড়া জেলার শাহপুরের বাসিন্দা। তার বাবা গরজ সিং সেনাবাহিনী থেকে হাবিলদার হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেছেন যে তার ছেলে আত্মত্যাগের মাধ্যমে অমর হয়ে গেছে।
গরজ সিং আরও জানান, ১৯৯২ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন পবন। এরপর ৩২ বছর চাকরি করেছেন। আগস্টে অবসর নিয়ে ফেরার কথা ছিল বাড়িতে। সে জন্য ছোটখাটো প্রস্তুতিও চলছিল। কিন্তু এভাবে পবন কফিনবন্দি হয়ে ফিরবেন, তা ভাবতে পারেনি তার পরিবার।
পবনের বাবা বলেন, ‘শেষ পোস্টিংয়ের জন্য কয়েক মাস আগে নিজেই বেছে নিয়েছিল সীমান্ত শহর পুঞ্চকে। অবসর নিয়ে ওর ঘরে ফেরার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। কে ভেবেছিল, এভাবে জাতীয় পতাকায় জড়ানো কফিনবন্দি দেহ ফিরবে পবনের।’ ভারত-পাকিস্তান সংঘাত শুরুর পর থেকে ছেলের সঙ্গে একবারই কথা হয়েছিল তার। তখন পবন বাঙ্কারে আশ্রয়ে ছিলেন বলে জানিয়েছিলেন।
পবনের বাড়িতে তার বাবা-মা, স্ত্রী সুষমা, এক পুত্র এবং এক কন্যা রয়েছেন। পুত্র অভিষেকের বয়স ২২ বছর। কন্যা অনামিকার বয়স ২১ বছর। ধর্মশালায় স্নাতকোত্তরে পড়াশোনা করছেন পবনের পুত্র অভিষেক।
তিনি জানিয়েছেন, প্রতিদিন সকালে বাবা মেসেজ করতেন তাকে। শনিবার আর সেই মেসেজ আসেনি। এদিন ভারতীয় সেনার উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা তাকে ফোন করে জানান, পবনের মাথায় চোট লেগেছে। কয়েক ঘণ্টা পরে ফোনে পবনের মৃত্যুর সংবাদ পান তারা।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস