ভারতে বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণের ভয়াবহ তথ্য প্রকাশ

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ব্যাঙ্গালুরুতে গত ২৫ জানুয়ারি ধর্ষণের শিকার এক বাংলাদেশি তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নাজমা নামে ওই তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩০ বছর বয়সী এক গাড়ি চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

২৮ বছর বয়সী নাজমা তার স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। তিনি সেখানে গৃহকর্মীর কাজ করতেন।

পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম মুড়ুকাপ্পা ওরফে উপেন্দ্র। সে থাকত কোঠানূর নামে একটি জায়গায়। তার বাড়ি কর্ণাটকের বাগালতোকে।

পুলিশ জানিয়েছে, নাজমা তার স্বামীর সঙ্গে রামকৃষ্ণ নামক একটি এলাকায় থাকতেন। সেখান থেকে তার কর্মক্ষেত্রটি কাছেই ছিল। মরদেহ উদ্ধারের একদিন আগে তিনি কাজে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে তিনি নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে লেকের নির্জন স্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নাজমাকে নির্মমভাবে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিয়ে পুলিশ বলেছে, “নাজমা একটি অস্থায়ী ঝুপরিতে থাকতেন। মুড়ুকাপ্পা ওই এলাকায় পানি সরবরাহ করায় তার সম্পর্কে জানত। সে নাজমার সাথে বেশ কয়েকবার কথাও বলেছে। ঘটনার দিন, মুড়ুকাপ্পা বুঝতে পারে নাজমা একা রয়েছে। এরপর সে তাকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে তার মুখে পাথর দিয়ে প্রচণ্ড জোরে আঘাত করে, যেন কেউ তাকে চিনতে না পারে। এরপর লেকের কাছে মরদেহটি ফেলে দেয়।”

ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে মুড়ুকাপ্পা নামের এ যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা এখনো নাজমার জাতীয়তার বিষয়টি যাচাই করেননি। তবে তারা তার স্বামীকে খুঁজে পেয়েছেন। যিনি জানিয়েছেন, নাজমা তার সঙ্গে থাকতে বাংলাদেশ থেকে এসেছে। তাদের কাছে কিছু কাগজপত্র পাওয়া গেছে। যারমধ্যে আছে নাজমার নামে একটি আধার কার্ড। কিন্তু এই কার্ডটি জাল বলে ধারণা তাদের।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *