সারাদেশে নিরাপদ ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের তত্ত্বাবধানে ৭০০টি ফার্মেসি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এসব ফার্মেসিতে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ও স্পর্শকাতর ওষুধ বিক্রি করা যাবে না, এমনটাই জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে।
এই উদ্যোগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক মোঃ সাইদুর রহমান জানান, আধুনিক চিকিৎসায় প্রতিটি হাসপাতালে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ ওষুধ সঠিক মাত্রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে ফার্মাসিস্টদের বিকল্প নেই।
বর্তমানে দেশে হাসপাতালগুলোর বড় একটি অংশে কোনো গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নেই। বাংলাদেশে হাসপাতালভিত্তিক ফার্মাসিস্টদের উপস্থিতি মাত্র ১০ শতাংশের নিচে, যেখানে থাইল্যান্ডে এই হার ৪০%, মালয়েশিয়ায় ৩৮%, এবং ইন্দোনেশিয়ায় ২৬%।
২০১৪ সালে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতাল মাত্র ১৪ জন গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে সেখানে ৩৬ জন ফার্মাসিস্ট কর্মরত। তারা ওষুধ যাচাই-বাছাই, সঠিক ডোজ নিশ্চিত ও নিরাপদ সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য ৬৫৪টি সরকারি হাসপাতাল রয়েছে, যেখানে সর্বমোট ৫১,৩১৬ জন রোগীর সেবা দেওয়ার সক্ষমতা থাকলেও ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থায় একজনও গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নেই।
অন্তর্বর্তী সরকারের এই উদ্যোগ সফল করতে গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।