দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের গাজায় যে বর্বর গণহত্যা চালাচ্ছে এর পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘সামর্থ্যবান মুসলমানদের ওপর জিহাদ ফরজ’ বলে সম্প্রতি যে ফতোয়া দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুসলিম স্কলার্স ইউনিয়ন (IUMS), সেই ফতোয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন মিসরের গ্র্যান্ড মুফতি ড. নাজির মুহাম্মদ আয়াদ। খবর মিডলইস্ট আইয়ের।
google newsকুমিল্লার সর্বশেষ খবর পেতে Google News অনুসরণ করুন
সোমবার (৭ এপ্রিল) মিসরের গ্র্যান্ড মুফতি বলেন, মুসলিম স্কলার্স ইউনিয়নের ফতোয়াটি দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং এটি মুসলিম বিশ্বের জন্য ক্ষতিকর। তিনি এই ফতোয়াটিকে একেবারে অযৌক্তিক এবং ভুল বলে মন্তব্য করেন।
ড. আয়াদ বলেন, এমন একটি ফতোয়া শুধু মুসলিম বিশ্বের মধ্যে বিভেদ এবং উগ্রপন্থার উত্থান ঘটাতে পারে, যা বৈশ্বিক শান্তির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তিনি দাবি করেন, ফতোয়া ইস্যু করার সময় যাদের পক্ষে এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা আছে, তাদের উচিত আরও চিন্তা-ভাবনা করা এবং ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, যাতে শান্তি এবং ঐক্য বজায় থাকে।
তবে ড. আয়াদ ইসরায়েলের গাজার প্রতি মানবিক সহায়তা অবরোধ করার সিদ্ধান্তেরও কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি এটিকে ‘আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করেন এবং এর বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিবাদ জানানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তিনি বলেন, গাজার সাধারণ জনগণের জন্য সহায়তা প্রেরণ একটি নৈতিক দায়িত্ব এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এটিকে মেনে চলা উচিত।
ড. নাজির আয়াদ ২০২৪ সালের আগস্টে মিসরের গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গিতে এক প্রগতিশীল ও শান্তিপূর্ণ মডেল প্রবর্তনের জন্য পরিচিত এবং সারা বিশ্বে উগ্রপন্থা ও ধর্মীয় সহিংসতার বিরুদ্ধে তার কাজের জন্য আলোচিত। তিনি সবসময় আন্তঃধর্মীয় সংলাপের প্রতি জোর দিয়েছেন এবং ইসলামিক সমাজের মধ্যে সংহতি এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন।