মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে নৌ-ডাকাত দলের বন্দুকযুদ্ধ, ১১ বোমা জব্দ

মুন্সীগঞ্জ সদরের মেঘনা নদীতে নৌ-ডাকাতি মামলার আসামি কানা জহির গ্রুপের সাথে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় একের অধিক ডাকাত গুলিবিদ্ধ ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রলার-স্পিডবোটসহ ৫১টি বোমা ও বন্দুকের গুলি জব্দ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার কালিরচর সংলগ্ন নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার মেঘনা নৌপথের নিয়ন্ত্রণ ও বালু উত্তোলন ঘিরে নৌ-ডাকাত কিবরিয়া গ্রুপের হামলা ও গুলিতে কানা জহির পক্ষের রিফাত ও রাসেল নামের দুজন নিহত হয়। পরদিন শুক্রবার কানা জহিরের পক্ষ প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালালের পিংকি নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী গুলিবিদ্ধ হয়। এঘটনার পর শনিবার বিকেলে ডাকাতচক্রকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে নৌ ও জেলা পুলিশ। বিকেলে নদীতে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে কানা জহিরের লোকজন। পরে পাল্টা গুলি চালালে দুপক্ষের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ডাকাত দলের পিছু নিলে একপর্যায়ে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাসাইল এলাকায় স্পিডবোট রেখে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। পেরে সেখান থেকে ডাকাতি কাজের নৌযান ও সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি এম সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের লক্ষ্য করে শর্টগান দিয়ে ৫-৬ রাউন্ড গুলি করে ডাকাতরা। পরে আমি ৩ রাউন্ড ও নৌপুলিশ ১ রাউন্ড গুলি করলে ডাকাতদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ হলে তারা পিছু হটে। ১১টি বোমা ও বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়। তবে গুলিবিদ্ধ বা ডাকাত চক্রের কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। মাসুদ, কানা জহিরসহ কয়েকজন ওই স্পিডবোটে ছিল।

এবিষয়ে মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার শামসুল আলম সরকার বলেন, অভিযুক্ত কানা জাহিরকে দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *