ডাকসুতে শিবির জিতে নাই। জিতছে ছাত্র শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। ছাত্র শিবির এইভাবেই জুলাই স্পিরিটকে ধারণ করছে। মেঘমাল্লারকে পরিচয় করায়ে দেয়া হয় প্রতিরোধ পর্ষদের ক্যান্ডিডেট হিসাবে কিন্তু সাদিক কাইউমকে শিবিরের ক্যান্ডিডেট হিসাবে। লাভ হয় নাই। ছাপ্পড় ফাইড়্যা ভোট দিছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা এই প্যানেলে। তারা তাদের নেতা বাইছ্যা নিছে।
দেশ এইভাবেই নেতা বাইছ্যা নেয়। মুজিব এইভাবেই নেতা হইছিলো। খালেদা জিয়া এইভাবেই নেতা হইছিলেন, নাহিদও এইভাবেই নেতা হইছিলো।
সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার ঘটছে জগন্নাথ হলে। মেঘমল্লার এক হাজারের বেশী ভোট পাইছে। আবিদ ১২০০ ভোট পাইলেও হামিম পাইছে তিনশো। একজন হিন্দু ভিপি ক্যান্ডিডেট থাকলে আবিদও এই ভোট পাইতো না। হামিম মুসলমান জন্য জগন্নাথ হলে ভোট পাইলো না। এইটারে কি সাম্প্রদায়িকতা কইবেন না? মেঘমল্লার তো মুসলমান ভোট পাইছে ভালোই। এমন জ্বলজ্বলে প্রমাণ থাকার পরেও বাংলাদেশের মুসলমানদের সাম্প্রদায়িক বইলা গালি দেয়া হয়।
আওয়ামী লীগের বা ছাত্রলীগের ভোট তাইলে কই গেছে? পুরাটা পাইছে শামিম আর মেঘমাল্লার আর উমামা।
ছাত্রলীগ যতোদিন নিষিদ্ধ থাকবে তারা ছাত্র ইউনিয়নের লুঙ্গির তলে থেকে রাজনীতি করবে।।এইটাই সাইন্স।