ভাগ্নের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ফাঁস, এরপর যা ঘটল

ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরে ভাগ্নের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গোপন রাখতে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। সচেন্দি এলাকার এ ঘটনায় অভিযুক্ত নারী ও তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, ৪৫ বছর বয়সী এক নারী দীর্ঘদিন ধরে তার ২০ বছর বয়সী ভাগ্নের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। বিষয়টি স্বামীর জানতে পারলে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। গত বছরের নভেম্বর মাসে স্বামী শিববীর সিংহ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে রহস্যের সূত্র খুঁজছিল পুলিশ। অবশেষে কয়েক মাসের তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

নিখোঁজের পর শিববীরের মা সাবিত্রী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। প্রথমে ছেলের স্ত্রী দাবি করেন, তিনি নাকি গুজরাটে কাজ করতে গেছেন। কিন্তু পরে জানা যায়, ওই নারীর সঙ্গে ভাগ্নে অমিতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অমিত জানায়, মাদকাসক্ত শিববীর প্রায়ই স্ত্রীকে নির্যাতন করত। এ সুযোগে ওই নারী ও তার ভাগ্নে মিলে ২০২৪ সালের ২ নভেম্বর রাতে শিববীরকে হত্যার পরিকল্পনা করে। প্রথমে তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়। এরপর লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

হত্যার পর মরদেহটি একটি বাগানে পুঁতে রাখা হয়। দ্রুত পচন ধরাতে ১০ থেকে ১২ কেজি লবণও ব্যবহার করে তারা। কয়েক মাস পর কুকুর সেই গর্ত খুঁড়ে ফেলায় কিছু অস্থি উদ্ধার হয়। পরে অভিযুক্তরা হাড়গুলো পানকি খালে ফেলে দেয়।

গত শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সচেন্দি থানা পুলিশ অভিযুক্ত নারী ও তার ভাগ্নে অমিতকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।

সূত্র: এনডিটিভি।