কুবি ছাত্রী ও মায়ের মরদেহ উদ্ধার: সিসিটিভি ফুটেজে যাকে দেখা গেল

কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরীর তিনতলা ভবনের একটি ভাড়া বাসা থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার দিকে তাহমিনা বেগম (৫০) ও তার মেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া আফরিন রিকিংয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পাশের স্কুলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, রোববার সকাল ৮টা ৮ মিনিটে মাথায় টুপি ও পাঞ্জাবি-পায়জামা পরিহিত এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন।

বেলা ১১টা ২২ মিনিটে তাকে একবার বের হতে দেখা যায়, তবে ১২ মিনিট পরই তিনি আবার ভেতরে ঢোকেন। এরপর দুপুর ১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত আর বের হতে দেখা যায়নি।

এরপর স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে সিসিটিভি ক্যামেরাও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পরবর্তীতে তিনি কখন বের হয়েছেন তা ক্যামেরায় ধরা পড়েনি।

প্রতিবেশীরা ধারণা করছেন, সিসিটিভিতে ধরা পড়া ব্যক্তি পরিবারের পরিচিত কোনো কবিরাজ হতে পারেন, যিনি নিয়মিত ওই বাসায় যাতায়াত করতেন।

নিহতের বড় ছেলে, যিনি ঢাকায় আইনজীবী হিসেবে কর্মরত, রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় ফিরে দরজা খোলা পান। ভেতরে গিয়ে মা ও বোনকে খাটে শুয়ে থাকতে দেখেন। কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে ছোট ভাই আসার পর দুজন মিলে কাছে গিয়ে নিশ্চিত হন, তারা দুজনেই মৃত।

তাহমিনা বেগম উত্তর কালিয়াজুরীর মৃত শামসুল হকের মেয়ে। তার স্বামী, আদালতের সাবেক হিসাবরক্ষক নুরুল ইসলাম গত বছর মারা যান। এরপর থেকে তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করছিলেন।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি একটি রহস্যজনক ঘটনা। সিসিটিভি ফুটেজসহ সব আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি হত্যা নাকি অন্য কোনো কারণে মৃত্যু, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। তদন্ত চলছে।’