আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে ইউএনও’র আইন-শৃঙ্খলা সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ইউএনও’র কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নিশাত আনজুম অনন্যার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকেই কয়েকটি ছবি সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিএনপি-জামায়াতের কোনো নেতাকে দেখা যায়নি। তবে সভায় অংশগ্রহণ করেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ভোলাহাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও গোহালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইয়াসিন আলী শাহ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. পিয়ার জাহান, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হুসনে আরা পাখিসহ আরও কয়েকজন দলটির পদধারী নেতা।

আরও পড়ুনঃ শিকলে বেঁধে পাঠানো হলো ভারতীয়দের, যা বললেন জয়শঙ্কর
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- দলদলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক চুটু, জামবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফাজ উদ্দিন, বিজিবি চাঁনশিকারী সুবেদার ইদ্রিস আলী ও জেকে পোল্লাডাঙ্গা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবু হানিফ। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভোলাহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. ইয়াজদানী জর্জ বলেন, ইউএনওকে বারবার বলার পরেও আওয়ামী লীগ নেতাদের পুনর্বাসন করার জন্যই প্রশাসন তাদের নিয়ে সভা করছে। অথচ বিগত ১৬ বছর বহু জনপ্রতিনিধি চেয়ারে থেকেও তাদের হেনেস্থা করেছে এই প্রশাসন। তিনি ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

আরও পড়ুনঃ নিকাব নিষিদ্ধ করল এক মুসলিম দেশ
বৈষম্যবিরোধী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুর রাহিম বলেন, বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের ধরতে অপারেশন ডেভিল হান্ট চলছে। এরই মধ্যে তাদের নিয়ে আবার আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা করছেন ইউএনও। এতে পরিষ্কার আওয়ামী লীগের দোসররা আবারও দেশকে অস্থিতিশীলতা করার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি ভোলাহাট উপজেলায় ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে দেখা গেল থানার ওসি, আওয়ামী লীগ নেতা ও বিএনপি নেতা কর্মীদের। এ নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। পরে থানার ওসি মো. শাহিনুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়।

আরও পড়ুনঃ বিএনপি নেতাকে হারিয়ে জামায়াত নেতার জয়
এদিকে বক্তব্য জানতেউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত আনজুম অনন্যার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি প্রশ্ন করে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দেওয়া হলেও উত্তর দেননি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *