ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের ভিপি (সহ-সভাপতি) প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, স্বাধীনতার পাঁচ দশক পার হওয়ার পরও আমরা দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক অর্জন যেভাবে আছে সেদিক বিবেচনায় একাডেমিক অর্জনের দিকে আমরা ফোকাস দিতে পারিনি। কিন্তু সত্যিকারার্থে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ হচ্ছে জ্ঞান উৎপাদন করা, জ্ঞান বিতরণ করা ও নতুন নতুন জ্ঞান নিয়ে আসা।
আজ সোমবার (২৫) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে সাংবাদিকদের মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এসময় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জিএস (সাধারণ সম্পাদক) প্রার্থী এসএম ফরহাদ, এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) প্রার্থী মহিউদ্দিন খানসহ অন্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাদিক কায়েম বলেন, বিশ্বব্যাপী অনেক দেশ আছে যারা আমাদের পরে স্বাধীনতা লাভ করেও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও শিক্ষা খাতে অনেক অগ্রগতি সাধন করেছে। কিন্তু আমরা বাংলাদেশের অবস্থা যদি দেখি কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা দেখি সে জায়গায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিকভাবে সাউন্ড হওয়া, বিনিয়োগ করা সেটি আমরা স্বাধীনতার ৫ দশকেও দেখতে পায়নি।
তিনি বলেন, আমাদের গবেষণা বাজেট খুবই অপ্রতুল। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে এবং বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে মূল বাজেটের ২০-২৮ শতাংশ বরাদ্দ থাকে। সেখানে এবার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য আছে এবারই সর্বোচ্চ দুই শতাংশ।
ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সাবেক এই সভাপতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, আমরা যদি শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট নিয়ে বিজয়ী হতে পারি তাহলে আমাদের এ বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা একটা একাডেমিক ইউনিভার্সিটি বানাবো ইনশাআল্লাহ।
অভিযোগ করে সাদিক কায়েম আরও বলেন, আমরা যারা ডাকসু নির্বাচন করছি, তারা সবাই জুলাই বিপ্লবের সহযোদ্ধা। কিন্তু বন্ধুপ্রতিম প্রতিপক্ষরা ক্রমাগত সাইবার বুলিং ও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে, যার ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমাদের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া সব প্রার্থীকে ভালো কাজের প্রতিযোগিতা এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ইতিবাচক প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানান তিনি।