নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে স্বামী, শাশুড়ি ও দেবরকে আটক রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের চেষ্টা করে ৭-৮ জন বখাটে। এ সময় ধর্ষণ থেকে বাঁচতে দোতলা ভবন থেকে লাফ দিয়েছেন। এতে ওই গৃহবধূর পা ভেঙে গেছে।
এই ঘটনায় রোববার (২৪ আগস্ট) বিকালে দুইজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। এর আগে গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকাল ৭ টার দিকে শহরের পৌর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের ওলি উল্যার ছেলে হানিফ ও একই ইউনিয়নের বাহাদিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে কামরুল।
ভুক্তভোগী ও তার পরিবার জানায়, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য নিয়ে গত শুক্রবার সকালে পৌর বাজারে সামান্য কথাকাটাকাটি হয়। এর মধ্যে হঠাৎ ৮-১০ জন খাটে তাদের দুজনের মধ্যে কী সমস্যা তা জানতে চায়। তারা জানায় তাদের পারিবারিক বিষয়, কোনো সমস্যা নয়। কিন্তু তরুণেরা এসব শুনতে না চেয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে আলাদা করে দুই রুমে নিয়ে যায় এবং স্বামীকে মারধর করে। খবর পেয়ে তাদের কয়েকজন আত্মীয়-স্বজনও আসেন। কিন্তু ওই তরুণেরা কারো কোনো কথা না শুনে সবাইকে আটক করে রাখে এবং অসদাচরণ করে।
পরিবারের সদস্যরা আরও অভিযোগ করেন, এই সময় ভিন্ন কক্ষে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ওই তরুণেরা। এক পর্যায়ে ধর্ষণ থেকে বাঁচতে ওই গৃহবধূ দোতলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন। এতে তার পায়ে রড ঢুকে যায় এবং পা ভেঙে যায়। পরে দ্রুত ওই তরুণেরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলে ওই গৃহবধূর আত্মীয়-স্বজনরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।
গৃহবধূর স্বামী জানান, বিষয়টি তারা পৌরবাজার ব্যবসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম মুক্তাকে অবহিত করেন। পরে তিনি গোপনে লোকজন দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার সঙ্গে যুক্ত থাকা দু’জনকে রোববার বিকালে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় তারা থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুইজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগির পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে । মামলা অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।