ময়নাতদন্ত শেষে ডা. শেখ মো. এহসানুল ইসলাম বলেন, লাশটি পানি থেকে এসেছে। লাশ হালকা পচন ধরেছে। যতটুকু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি, শরীরের ভেতরে বা বাইরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে আমরা দাঁত, চুল, লিভার, কিডনি ও পাকস্থলির কিছু অংশ সংগ্রহ করেছি। এসব নমুনা ফ্রিজিং করে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। পরীক্ষার রিপোর্ট এলে চূড়ান্ত মতামত দেওয়া সম্ভব হবে।
ময়নাতদন্ত শেষ হলেও দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। মর্গের বাইরে লাশ গ্রহণের অপেক্ষায় ছিলেন বিভুরঞ্জনের ভাই চিররঞ্জন সরকার ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
চিররঞ্জন সরকার জানান, লাশ বুঝে পাওয়ার পর তারা মরদেহ রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় নিয়ে যাবেন। সেখান থেকে শেষকৃত্যের জন্য সবুজবাগের বরদেশ্বরী কালীমন্দির ও শ্মশানে নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ৭১ বছর বয়সী বিভুরঞ্জন সরকার দৈনিক আজকের পত্রিকায় জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই দিন রাতেই রমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বলাকির চর এলাকায় মেঘনা নদীতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোহাম্মদ সালেহ আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। পরে সন্ধ্যায় মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
কলাগাছিয়া নৌ-পুলিশ সদস্যরা মরদেহের ছবি তুলে রমনা থানায় পাঠান। পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া বিভুরঞ্জন সরকারের ছবির সঙ্গে মিল পাওয়ায় পুলিশ তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়। এরপর বিভুরঞ্জন সরকারের ছেলে ঋত সরকার ও তার ভাই চিররঞ্জন সরকার মুন্সীগঞ্জে এসে মরদেহ শনাক্ত করেন।