ভারতের চেয়ে সস্তা, হাজারগুণ উন্নত চিকিৎসা কুনমিংয়ে!

বসন্তের শহর কুনমিং, চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী। যা এখন বাংলাদেশি রোগীদের কাছে চিকিৎসার এক নতুন ও ভরসা জনক গন্তব্য হয়ে উঠেছে। উন্নত প্রযুক্তি, দক্ষ চিকিৎসক, কম খরচ এবং রোগীবান্ধব সেবা—সব মিলিয়ে কুনমিংয়ের হাসপাতালগুলো দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে গেছে বলে মত দিচ্ছেন চিকিৎসা নিতে যাওয়া বাংলাদেশিরা।

ঢাকা থেকে মাত্র দুই ঘণ্টার ফ্লাইটেই পৌঁছানো যায় কুনমিংয়ে। শহরের ছয়টি আধুনিক হাসপাতাল বর্তমানে বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষভাবে সেবা প্রদান করছে। মার্চ থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ইতোমধ্যেই প্রায় ৬০০ বাংলাদেশি চিকিৎসা ভিসা পেয়েছেন চীনের। বিশেষ করে হার্ট, ক্যান্সার ও চোখের জটিল রোগে ভুগছেন এমন রোগীদের মধ্যে এই গন্তব্যটির জনপ্রিয়তা দ্রুত বেড়েছে।

আরও পড়ুনঃ না ফেরার দেশে চলে গেলেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী
এই হাসপাতালগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে রোবটিক্সসহ আধুনিক প্রযুক্তি। রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা হচ্ছে। চিকিৎসক ও নার্সরা অত্যন্ত যত্নশীল এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মান বজায় রাখতে তারা বিশেষ মনোযোগী। ভারত, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, চিকিৎসার মান হাজারগুণ ভালো কুনমিংয়ে আর খরচও অনেকটাই কম। এতে সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যেই থাকছে উন্নত চিকিৎসা সেবা গ্রহণের সুযোগ।

বাংলাদেশি রোগীদের জন্য কুনমিংয়ে হালাল খাবারসহ থাকা-খাওয়ার বিশেষ ব্যবস্থাও রয়েছে। কিছু প্রতিষ্ঠান এই খাতে কাজ করছে যাতে রোগী ও স্বজনদের ভোগান্তি কম হয়। যদিও বর্তমানে ঢাকা থেকে কুনমিংয়ে চলাচল করছে মাত্র একটি ফ্লাইট। তবে চলতি বছরের শেষ দিকে চট্টগ্রাম থেকে আরেকটি ফ্লাইট চালু হওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ মামুনকে দুই টুকরা করে ভরা হয় বস্তাতে, মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য
বাংলাদেশি কনসাল জেনারেল ও চীনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের তথ্য অনুযায়ী, চিকিৎসা ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়াও এখন সহজ ও দ্রুত। বিশেষভাবে গঠন করা হয়েছে ‘গ্রীন চ্যানেল’, যার মাধ্যমে জরুরি অবস্থায় এক দিনের মধ্যেই ভিসা প্রদান করা হচ্ছে এবং অন্যান্য নিয়মকানুনও অনেকটা সহজ করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে বলা যায়, কুনমিং এখন শুধু বসন্তের শহর নয়, বরং বাংলাদেশের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবেও নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে। অপরদিকে কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী ভারতের দাদাবাবুরা এখন বাংলাদেশি রোগী আর পর্যটক হারিয়ে মাথায় হাত দিয়ে কান্না করছে আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দুষছে তার কৃতকর্মের জন্য।

আরও পড়ুনঃ রেললাইনে বসে মাদক সেবন করতে গিয়ে…
ফ্যাসিস্ট হাসিনা ভারতের পালানোর পর বাংলাদেশিদের সমস্ত ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দেয় মোদি সরকার। চিকিৎসা ভিসা বন্ধ করে চরম অমানুষের পরিচয় দেয় দাদারা। কিন্তু, নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের এক চালেই উল্টো কুপোকাত এখন ভারত। পরম বন্ধু চীন বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে ব্যবস্থা করেছে স্বল্প খরচে চিকিৎসার। আর এতেই এখন রীতিমতো মাথায় হাত ভারতের দাদাবাবুদের।